১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিকে শেখ কামালকে তার বন্ধু রুহেল আহমেদ বাবু বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হিসেবে একটু ফিটফাট হয়ে থাকতে। জবাবে শেখ কামাল বলেছিলেন, ‘আমি পৃথিবীর সবচেয়ে গরিব দেশের গরিব প্রধানমন্ত্রীর ছেলে।’ শেখ কামালের এই ভাবনাটি আমাকে ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছে বলেই শিরোনামে দিয়েছি।
শেখ কামালকে নিয়ে আমার জানার আগ্রহটা জন্মে মহিউদ্দিন আহমদ-এর ৩২ নম্বর পাশের বাড়ি গ্রন্থটি পড়ার পর থেকে। কিন্তু ইউটিউবের কিছু ভিডিও এবং বিশেষ দিনে শেখ কামালের ওপর করা প্রতিবেদন ছাড়া আর কিছুই নেই। অথচ এই শেখ কামাল বাংলাদেশের বর্তমানের সবচাইতে জনপ্রিয় ক্লাব আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা।
শেখ কামাল এমন এক চরিত্র যার প্রশংসার চাইতে ছড়িয়ে আছে নানান গালগপ্প। রয়েছে প্রপাগান্ডায় ভরা নানা ঘটনা। ‘বঙ্গবন্ধুর ছেলে ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে পুলিশের গুলি খেয়েছিল। এমনকি মেয়েদের তুলেও নিয়ে যেত’। বেশি প্রচলিত গল্প এ দুটোই। আমি প্রায়ই অনেকের মুখেই এসব শুনেছি, এখনও শুনি। সত্য-মিথ্যা যাচাই করে কেউ কথা বলে না। বরং মুখ থেকে মুখে ছড়িয়ে পড়া গল্পটাই যেন খুব প্রিয়।
কেউ যদি ঠাণ্ডা মাথায় একটু চিন্তা করে দেখতো! জাতির জনকের ছেলে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সন্তান শেখ কামাল। তার ব্যাংক ডাকাতির কী দরকার পড়লো আর কেন তাকে ডাকাতি করতে হবে?
এই দুটি সাধারণ প্রশ্ন মাথায় ঢুকালেই সুস্থ্য মস্তিষ্কের মানুষের বোঝা উচিত এটা নিছক প্রপাগান্ডা। বানানো গল্প মানুষ বিশ্বাস করে বেশি। এত কথা বলার পরও আমি জানি অনেকেই এটা বিশ্বাস করে বসে থাকবেন। এসব শেখ কামালও জানতেন। শুধু তাই নয়, শেখ কামাল যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয় অ্যাথলেট সুলতানা কামাল খুকীর প্রেমে মগ্ন তখন খুকীও এই প্রপাগান্ডা বিশ্বাস করেছিল।
২০২০ সালে কথাপ্রকাশ থেকে সনৎ বাবলা’র লেখা ‘শেখ কামাল: ক্রীড়াঙ্গনের ধূমকেতু’ গ্রন্থটি পড়ে আমি রীতিমত মুগ্ধ। মনে হলো, এত কাছে থেকে এর আগে কেউ শেখ কামালকে চেনায়নি।
সনৎ বাবলা খুঁজে বেড়িয়েছেন সাধারণ শেখ কামালকে। যার হাতে অঢেল ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও পালন করেছেন সাধাসিদা জীবন। মঞ্চে নাটক করা, ক্রিকেট খেলা, ফুটবলে সংগঠন দাঁড় করানো, মুক্তিযুদ্ধে চলে যাওয়া, ফিরে এসে আবার খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কাজ করে যাওয়া শেখ কামালকে আমরা দেখতে পাই সনৎ বাবলা’র গ্রন্থে। শেখ কামালের জীবনকে বোঝার জন্য তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন শেখ কামালের বন্ধু-সহযোদ্ধাদের কাছে। এমনকি সুলতানা কামাল খুকীকে নিজের ভালোবাসা জানানোর জন্য যার সহযোগিতা নিয়েছেন সেই অভিনেত্রী ডলি জহুরের (তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন একই সঙ্গে মঞ্চে শেখ কামালের সঙ্গে কাজ করতেন) কাছেও গিয়েছেন।
যাইহোক, এই গ্রন্থেই জানতে পারি আবাহনীর গড়ে ওঠার গল্পটা। ৬৪-৬৫ সালের ধানমন্ডিতে বাঙালি-অবাঙালি মিলিয়ে ৫০-৬০ টির মতো পরিবার বাস করতো। কেডিএস ফার্মাসিউটিক্যালস ল্যাবরেটরির সামনের মাঠে খেলতো এলাকার ছেলেপেলেরা, আড্ডাও দিত। এটাই বর্তমান আবাহনী মাঠ। আড্ডাবাজ সেই সব তরুণরা বেশিরভাগই তখন পড়তো কলেজে।
মাঠের পাশেই বাসা ছিল আমিনুর রহমান খানের। তিনি শিক্ষক ছিলেন এক সময়, পরে সরকারি চাকরিতে ঢোকেন। এলাকায় সবাই তাকে এড়িয়ে চলতো। কারণ, কাছে পেলেই এলাকার ছেলেদের অংক-ইংরেজির প্রশ্ন করে বসতেন।
এই আমিনুর রহমানই একদিন এলাকার তরুণদের ডেকে বললেন, ‘রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে-বেড়াও, এদিক-ওদিক আড্ডা মারো তোমরা। এই এলাকার মাঠটা তো দখল করার চেষ্টা করতে পারো। সরকার এই মাঠ বিক্রি করে দিচ্ছে, খবর রাখো!’
১৯৬৬ সালে এলাকার একজন ২৬৮ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেন এই মাঠ কেনার জন্য। সেই দৌড় ঝাপ শুরু করে তরুণেরা। প্রথমে পত্রিকায় প্রতিবেদন করার জন্য ইত্তেফাকের সম্পাদক মানিক মিয়ার কাছে ছোটেন। তিনি নিউজ করে দেন। ছেলেরা মিলে প্রতিবাদও শুরু করেন। তাদের সঙ্গে যোগ হয় আরো অনেকে। এই মাঠ রক্ষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন হারুনুর রশিদ।
সরকারের এটর্নি জেনারেল জানালেন মাঠ বিক্রি হবে না। ছেলেরা যেন শান্ত থাকে। কিন্তু টগবগে তরুণরা কি এসব বাহানায় মানে? তারা দাবি তোলে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির। সরকারও রাজি। তবে সমস্যা হলো চুক্তি করবে কার সঙ্গে? ব্যক্তির সঙ্গে তো সরকার চুক্তি করবে না, করবে সংগঠনের সঙ্গে। ঠিক তখনই হাজির হন শেখ কামাল।
এই আন্দোলনে শেখ কামালকে যেন রাখা হয় সে কথা বঙ্গবন্ধু তরুণদের আগেই বলে রেখেছিলেন। শেখ কামাল সম্পর্কে হারুনুর রশিদ বয়ান দেন গ্রন্থে। তাদের জুনিয়র হওয়া সত্ত্বেও কামাল কী করে নেতৃত্বে চলে গেলেন। কথা বার্তায়, আচরণে অমায়িক কামাল বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন খেলাকে জনপ্রিয় করতে তিনি কতটা জ্ঞান রাখেন। আর তাই তো তিনি বলেন, ‘খেলার প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে হলে খেলোয়াড়দের জন্য ভালো টাকা-পয়সার ব্যবস্থা করতে হবে। খেলে সংসার চালাতে না পারলে এদেশে খেলার উন্নতি হবে না।’
কামালের মাথাতেই প্রথম ক্লাব চিন্তা আসে। সেটাই অন্যদের মধ্যে সঞ্চার করে দেন। সংগঠনের নাম চেয়ে প্রত্যেক বাড়িতে চিঠি যায়। সেই নাম থেকেই নির্বাচিত হয় আবাহনী। লালমাটিয়া কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মতিউর রহমান দিয়েছিলেন নামটি। সংগঠনের নাম হয়ে গেলো আবাহনী সমাজ কল্যাণ সমিতি। এরপর চলে সদস্য সংগ্রহ। শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা দু’ টাকা চাঁদা দিয়ে সদস্য হন। এই সংগঠনের তিনটা শাখা ছিল। ক্রীড়াচক্র, সাহিত্য চক্র ও সাংস্কৃতিক চক্র। ১৯৬৮ সালে একবার নির্বাচনও হয়েছিল। শেখ হাসিনা হয়েছিলেন সাহিত্য সম্পাদক। প্রথম বড় টুর্নামেন্ট হয় ১৯৬৯ সালে মানিক মিয়ার মৃত্যুর পর।
১৯৭১ সালে যুদ্ধের আগে এই মাঠে প্রায় ৫০ জন তরুণকে ট্রেনিং দিয়েছিলেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন শওকত আলী।
মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে এসে স্বাধীন দেশে খেলাধুলাতেই বেশি মনোযোগী হতে থাকেন শেখ কামাল। তিনি মনে করেন, যুদ্ধের পর তরুণদের অনেকে বিপথে চলে যেতে পারে। তাই তাদের খেলায় নিয়ে আসতে হবে। এজন্য সাহিত্য চক্র ও সংস্কৃতি চক্র বাদ দিয়ে প্রথম বিভাগে কিভাবে ফুটবল খেলা যায় সেখানেই মনোযোগ দেন। কিন্তু বিধিবাম। পাড়ার ফুটবল খেলে তো প্রথম বিভাগে যাওয়া যায় না। তাই তাদের মাথায় এলো একটা প্রথম বিভাগের ক্লাবকে কিনে সেটার নাম বদলে ফেলা। তখনই বিহারিদের ক্লাব ইকবাল স্পোর্টিং ক্লাবকে কিনে ফেলে। আদালতে গিয়ে নাম বদল করে হয়ে যায় আবাহনী ক্রীড়া চক্র।
১৯৬৬ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিল আবাহনী সমাজ কল্যাণ সমিতির। আর নবযাত্রা হলো ১৯৭২ সালে আবাহনী ক্রীড়াচক্র নামে। আর এজন্যই শেখ কামালকে বলা হয় আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা।
ক্লাব চালাতে গেলে আর্থিক সংকটে পড়তে হয়। ওই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ছেলের একটি ক্লাব আছে, এজন্য নানান মানুষ ভীড় করতো শেখ কামালের আশেপাশে। অনেকেই ক্লাবের জন্য টাকা দিতে চাইতো। অনেক ব্যবসায়ী বিশেষ সুবিধা আদায়ের জন্য টাকা দিতে চাইতো, অনেক রাজাকারও চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেখ কামাল ছিল অনড়। নিঃস্বার্থ ও মানুষ বুঝে অর্থের সহযোগিতার কথা তিনি বলেছেন আবাহনীর ম্যানেজার সুভাষ সোমকে। এমনকি শেখ হাসিনাও গলার চেইন দিয়ে দিয়েছিলেন ক্লাবের খরচ সামলাতে। ১৯৭৫ সালের ৩১ জুলাই জার্মানি যাওয়ার দিন শেখ হাসিনা জিজ্ঞেস করেছিলেন শেখ কামালকে, যে তার কী লাগবে। তিনি নিজের জন্য কিছুই চাননি। বোনকে বলেছিলেন, আমার খেলোয়াড়দের জন্য অ্যাডিডাস বুট নিয়ে এসো। এই স্মৃতি আজও শেখ হাসিনাকে কাঁদায়।
ক্লাবের খরচ চালানোর জন্য আবাহনী সার্কাস দলও গঠন করা হয়। শুধু তাই নয়, আবাহনীকে জনপ্রিয় ফুটবল দলে পরিণত করার জন্য ওই সময়ের সকল তুখোড় খেলোয়াড়দের কাছে ধরনা দিয়েছিলেন শেখ কামাল। প্রত্যেকের কাছে গেছেন, অনুরোধ করেছেন। এসব উল্লেখ আছে গ্রন্থে।
শুধু তাই নয়, আধুনিক ফটবল দল হিসেবে আবাহনীকে গড়ে তোলার জন্য বিদেশি কোচ নিয়োগ দিয়েছিলেন শেখ কামাল। এমন ঘটনা বাংলাদেশে সেটাই প্রথম। এ সম্পর্কে বয়ান দেন কাজী সালাউদ্দিন। তিনি জানান, তার পরিচিত এক বিদেশি ছিলেন। তিনি ফুটবল খুব ভালো বোঝেন। কিন্তু ট্রেনিংপ্রাপ্ত কোচ নন। সেই বিদেশির কাছে গিয়ে রাজি করানো হয় কোচিং করানোর জন্য। এই কোচ প্রথমবার খেলোয়াড়দের বলেন, পাস দিয়ে খেলতে, বল নিজের কাছে রাখা যাবে না। সেই কোচের অধিনেই আবাহনী তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠে।
শুধু খেলাধুলা নয়, নাট্যঙ্গনেও সমান অংশগ্রহণ ছিল শেখ কামালের। তার নাটক করারও অনেক ঘটনার বিবরণ রয়েছে এই গ্রন্থে।
শেখ কামাল ক্রিকেট ভালো খেলতেন। পেস বোলিং করতেন। কিন্তু ফুটবলে সংগঠক হিসেবে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। এমনকি যখন আবাহনীর হয়ে তিনি খেলতে পারতেন, জাতীয় পর্যায়েও খেলতে পারতেন- তা না করে তিনি সংগঠকের ভূমিকাতেই বেশি মনোযোগ দিয়েছেন।
এই গ্রন্থের আমার সবচাইতে চমৎকার অধ্যায় লেগেছে সুলতানা কামাল খুকীকে নিয়ে পর্বটি। সেখানে আমি প্রথমবার জানতে পারি শেখ কামাল দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হয়েও কী করে নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে পাওয়া জন্য সাধারণের মতোই চেষ্টা করে গেছেন। এ অনন্য সুন্দর মায়াময় গল্পটি আমার জানা ছিল না। এছাড়াও খুকী একজন জনপ্রিয় অ্যাথলেট ছিলেন কিন্তু তিনি যে কত অসাধারণ ছিলেন তা এই প্রথমবার এই গ্রন্থের মাধ্যমে জানতে পারি।
সুলতানা কামাল খুকীর কথা ১৫ আগস্ট আসলে একটা কথা আমরা শুনে অভ্যস্ত। সেটা হলো, শেখ কামালের স্ত্রীর বিয়ের মেহেদীও শুকায়নি। তাকেও মেরে ফেলা হয়েছে। অথচ শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল খুকী একজন দুর্দান্ত অ্যাথলেট ছিলেন। তার নিজস্ব পরিচয় ছিল। সত্তরের দশকে এমন একজন নারী অ্যাথলেট এই দেশ পেয়েছিল। তাকে হারানোর বেদনার কথা কেউ কি বলেছেন?
নারী অধিকার নিয়ে এখন আমাদের সচেতনতার শেষ নেই। অথচ সত্তরের দশকে বাংলাদেশে একজন নারী প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছ থেকে ‘ব্লু’ সম্মান লাভ করেন। অ্যাথলেট খুকী কতটা সফল ছিলেন নিজের খেলোয়াড়ি জীবনে তা ‘খুকীর খেলাঘরের গল্প’ অধ্যায়েই বিস্তারিত রয়েছে।
এছাড়াও আছে শেখ কামালের ব্যাংক ডাকাতির গালগপ্পের জবাব। রয়েছে সেদিন তার সঙ্গে থাকা সাখাওয়াত মুবিন চৌধুরী শাহানের সাক্ষাৎকার। যা নিয়েছিলেন রুহেল আহমেদ বাবু। এই রুহেল আহমেদ বাবুই তার স্মৃতি থেকে বলেছেন, … ‘১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিকে শত চেষ্টা করেও তাকে সরকারি টাকায় কিছু কিনে দিতে পারিনি। তাকে বলেছিলাম, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হিসেবে একটু ফিটফাট থাকতে তো পারিস। জবাবে বলেছিল, পৃথিবীর সবচেয়ে গরিব দেশের গরিব প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সে। তার এমন নীতি-নৈতিকতার সঙ্গে এই ব্যাংক ডাকাতি মিলাতে পারছিলাম না। তাই দেশে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম এ বিষয়ে জানার জন্য। কামালের সঙ্গে সেই গাড়িতে শাহান ছিল শোনার পর তাকে বেশ কয়েকদিন ফোন করেছিলাম।….’
এই শাহানের সাক্ষাৎকারেই বের হয়ে আসে সেদিনের সেই সত্য ঘটনাটি।
ঐতিহাসিক চরিত্রগুলো নিয়ে আলাপ তো সচরাচর হয়েই থাকে। বিশেষ বিশেষ দিনে ঐতিহাসিক চরিত্র বড় ফ্রেমে হাজির হয়। তবুও কিছু কিছু চরিত্রের নাম উল্লেখ থাকলেও সেভাবে আলোচনাতেই আসে না তাদের জীবন সংগ্রামের কথা। ঠিক তেমনই খুব আলোচনায় আসে না শেখ কামাল ও খুকীর গল্প। আমি তো শেখ জামাল সম্পর্কেও অনেক কিছু জানতে চাই। কেমন ছিলেন তিনি? কী ভাবতেন? কী স্বপ্ন দেখতেন?
শেখ কামালকে এমন একটি গ্রন্থে আবদ্ধ করে দেওয়ার জন্য লেখককে অভিনন্দন। এমন একটি নির্মোহ ও সাবলীল বর্ণনাকে মলাটবন্দি করার জন্য প্রকাশককেও ধন্যবাদ।
গ্রন্থের নাম: শেখ কামাল: ক্রীড়াঙ্গনের ধূমকেতু
লেখক: সনৎ বাবলা
প্রকাশক: কথাপ্রকাশ
প্রচ্ছদ: আনিসুজ্জামান সোহেল
মূল্য: ২০০